সর্বশেষ আপডেট

ইসলামের দৃষ্টিতে টেলিভিশন বা TV দেখা কি হারাম?

আলহামদুলিল্লাহ ।
আমাদের ফেইসবুক পেজএ একজন বোন প্রশ্ন করেছেন, "টিভি দেখা জায়েজ নাকি
নাজায়েজ? যদি নাজায়েজ হয় তবে দলিলসহ জানান? আয়াত, হাদিস  ফতোয়ার কিতাবের দলিল দারা উত্তর চাই।



উত্তরঃ প্রথমে আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ।
১। টিভি দেখা হায়েজ নাকি নাজায়েজ  এ প্রশ্নের উত্তর হলো হ্যাঁ টিভি দেখা জায়েজ। (আগেই মন্তব্য না করে নিচে বিস্তারিত আলোচনা পড়ুন)

২।  "আয়াত , হাদিস, ফতোয়া, কিতাবের দলিল দ্বারা উত্তর চাই।" এই প্রশ্নের উত্তর হলো সরাসরি টিভি দেখা হালাল নাকি হারাম এসম্পর্কে  নির্দিষ্ট কোনো দলিল আছে বলে আমার জানা নাই। কারন রসূল পাক (সা:) এর সময়ে টিভি জাতীয় কিছু ছিল না। তাই এই সম্পর্কে হাদিসে কোনো সঠিক ব্যাখ্যা নেই।


তবে বিশিষ্ট আলেমদের মতে টিভি দেখা হারাম নয়। রাম নয় যখন আপনি ধর্মীয় শিক্ষামূলক কিছু দেখবেন। কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে, আমরা যখন টিভিতে ধর্মীয় কোনো আলোচনা বা অনুষ্ঠান দেখি হঠাৎ ই advertise শুরু হয়ে যায়। আর বেশিভাগ advertise গুলোতে নারী, পুরুষদের অশ্লীল, বেপর্দা পোশাকে দেখা যায়। আমি এখানে অশ্লীল বলতে হিজাববিহীন পোশাককে বুঝিয়েছি। আর ইসলাম ধর্মে হিজাববিহীন অবস্থায় বেগানা নারী বা পুরুষকে দেখা সম্পূর্ণ হারাম। আপনি যদি এই advertise বা দুনিয়াবী প্রোগ্রাম গুলোকে এড়িয়ে গিয়ে ধর্মীয় শিক্ষামূলক কোনো প্রোগ্রাম দেখতে পারেন তাহলে আপনি টিভি দেখতে পারেন। কিন্তু advertise গুলোকে এড়িয়ে গিয়ে ভালো কোনো প্রোগ্রাম দেখাও প্রায় অসম্ভব।
এক বালতি দুধ নষ্ট করতে যেমন একফোটা লেবুর রস যথেষ্ট ঠিক তেমনি আপনি টিভিতে ধর্মীয় কোনো অনুষ্ঠান দেখে যতটা নেকী অর্জন করবেন একটা অশ্লীল advertise ই যথেষ্ট আপনার সব নেকীগুলোকে পাপে পরিণত করার জন্য।

আপনাকে একটা সহজ উদহারণ দেই, মনে করেন আপনার সামনে এক গ্লাস ভালো দুধ রাখা আছে কিন্তু তার ভিতর সামান্য টুকু বিষ্ঠা ফেলে দেয়া হলো আপনি কি খাবেন? নিশ্চয়ই খাবেন না, বলবেন দুধ নষ্ট হয়ে গেছে । ঠিক এই ব্যাপারটিও তেমনি। আপনি যদি এমন কোনো অনুষ্ঠান বা টিভি চ্যানেল খুঁজে পান যাতে অশ্লীল কিছু চোখে পরার সম্ভবনা নেই সেক্ষেত্রে আপনি টিভি দেখতে পারেন।
আশা করি আমি আপনাকে বুঝতে পেরেছি।

কোন মন্তব্য নেই