সর্বশেষ আপডেট

About

بسم الله الرحمن الرحيم

সকল প্রশংসা মহান রাব্বুল আলামিনের প্রতি যিনি আমাদেরকে শুধু মুসলমান নয় বরং সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা:) এর উম্মত করে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। একই সঙ্গে সালাম জানাই নবী (সা:) এর প্রতি যিনি জীবন ভর আল্লাহর দিন প্রতিষ্ঠা ও তার উম্মতের মুক্তির জন্য কাফের, বেঈমানদের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছেন।

প্রিয় সুধী, আমাদের এই ব্লগের প্রধান উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর ধর্ম ইসলামকে সবার মাঝে প্রচার করা, ইসলামের বাণী, রীতিনীতি সবার মাঝে পৌঁছে দেওয়া, যেই মহান কাজ সকল নবী-রাসূল থেকে শুরু করে সাহাবী, তাবেঈ-তাবেঈন, ওলী,  আউলিয়া, পীর, মাশায়েখ, বুযুর্গানে দিন করে গেছেন। বর্তমানে আল্লাহর দিন প্রচারের সেই মহান দায়িত্ব আমাদের উপর ন্যস্ত। আমাদের প্রাণের চেয়েও প্ৰিয় নবী মুহাম্মদ (সা:) তার বিদায় হজ্ব এর ভাষণে আমাদের উপর এই দায়িত্ব অর্পন করে গেছেন। বিদায় হজ্বের ভাষণে হজরত মুহাম্মদ সা: মুসলমানদের উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন,
হে আমার উম্মতগণ! আমি তোমাদের মাঝে দুটি বস্তু রেখে যাচ্ছি, তা যদি তোমরা দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরো, তাহলে তোমরা কখনো পথভ্রষ্ট হবে না। সেই গচ্ছিত সম্পদ হচ্ছে আল্লাহর কিতাব বা আল কোরআন ও আল হাদিস বা আমার সুন্নাহ।’ 
 ভাষণের শেষ পর্যায়ে তিনি বলেছিলেন,
 ‘আমি কি তোমাদের কাছে আল্লাহর পয়গাম পৌঁছে দিয়েছি?’ সবাই সমস্বরে বলে উঠল, ‘হ্যাঁ, আপনি দায়িত্ব পূর্ণ করেছেন।’ তিনি বললেন, ‘হে আল্লাহ! তুমি সাক্ষী থাকো।’ অতঃপর জনসমুদ্রকে লক্ষ করে বললেন, ‘যারা এখন এখানে উপস্থিত আছ, তারা এ ভাষণ অন্যদের কাছে পৌঁছে দেবে, তাদের কাছে যারা এখানে উপস্থিত নেই।’ খুতবার শেষ পর্যায়ে তিনি সব মুসলমানকে লক্ষ করে বললেন, ‘বিদায়, বিদায়!’ 
তার সেই মহামূল্যবান ভাষণের দ্বারা এটা সুস্পষ্ট যে, এই দায়িত্ব তিনি তার উম্মতের উপর দিয়ে গেছেন। মহানবী (সা:) এর বিদায় হজ্বের ভাষণ সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন
তাই সেই মহান উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা আমাদের যাত্রা শুরু করেছি। যে যাত্রার আপনারাও একটি অংশ। আপনারা চাইলে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বা আপনার অবস্থান থেকেই আমাদের সমর্থন দিয়ে সেই মহান কাজের সামিল হতে পারেন। আমাদের ব্লগে লিখতে চাইলে যোগাযোগ করুন