সর্বশেষ আপডেট

কবরে ফুল দেওয়া কি বিদআত? আসুন জেনে নেই


بسم الله الرحمن الرحيم
আশা করি সকলে ভালো আছেন। আপনাদের দোয়াতে আমিও ভাল আছি। ইসলামের সঠিক পথে জীবনকে পরিচালিত করছেন তো? ভাই সময় কিন্তু অনেক কম। তাই এখনি নিজেকে পরকালের জন্য প্রস্তুত করতে হবে। চলুন মূল আলোচনায় যাওয়া যাক--

আজকের আলোচ্য বিষয় হলো কবরে ফুল দেয়া কি?


কবরে ফুল দেওয়াকে অনেকে বিদাতে সায়িয়াহ বা মন্দ বিদাত বলে থাকে। আসলে এই কবরে ফুল দেওয়া কখনো বিদাত এবং কখনো শিরক। দ্বীনের মধ্যে বিদাতের কোনো প্রকার নেই। হাসানাহ সায়িয়াহ সবই বিদাত। রাসুল (সাঃ) দুটি কবরে খেজুরের ডাল পুতে দিয়েছিলেন সেটা ছিল রাসুল (সাঃ) এর সাথে খাস বা আলাদা। এটা রাসুল (সাঃ) এর মোজেজা আল্লাহর পক্ষ থেকে। ওই দিন ব্যতীত রাসুল (সাঃ) পরবর্তিতে অন্য কোনো দিন এই কাজ করেন নি। সাহাবী গণ কেউ কোনদিন কোনো কবরে এভাবে ডাল পুতে দেন নি।ওই ডালের যুক্তিতে এখন ফুল দেওয়া হয় এবং ইসলামিক স্কলারগণ একে বিদাত সাবস্ত করেছেন।
সাধারনভাবে কবরে ফুল দেওয়া টা-ই বিদআত। এখন কেউ যদি সম্মান করে কবরে ফুল দেয় তাহলে তা হয়ে যাবে শিরক। কেউ যদি কবরে টাকা দেয় যে এই কবরের আওলিয়া বুঝি উপকার করবে আমার জন্য দুআ করবে তাহলে তা হবে শিরক। বড় শিরক।

 মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআন এ বলেছেন, 
"আমি শিরক এর গুনাহ ব্যতীত বান্দার সকল গুনাহ মাফ করে দিতে পারি"
অর্থাৎ শিরক একটি অমার্জনীয় গুনাহ। যার পরিনাম নিশ্চিত জাহান্নাম। 


আল্লাহ আমাদেরকে সকল প্রকার শিরক থেকে হেফাজত করুন । 
"আমিন"



২টি মন্তব্য:

  1. কোরআনের কোন সুরা, কোন আয়াত এবং কোন হাদিস বইয়ের কত অধ্যায় বা হাদিস নং কত জানালে উপকৃত হতাম।


    শুকরিয়া.

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. খেজুর-গাছের শাখা পোঁতার হাদীস

      এ প্রসঙ্গে শাহ ছাহেব যে হাদীসটি পেশ করেছেন, অর্থাৎ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খেজুর গাছের একটি ডাল দুই ভাগ করে দুই কবরে পুঁতে দিয়েছিলেন, যে কবর দুটিতে আযাব হচ্ছিল এবং বলেছিলেন, ‘আশা করা যায়, এই শাখা শুকানো পর্যন্ত কবর দুটির আযাব লঘু হবে’। এখানে কয়েকটি বিষয় লক্ষণীয়।

      এক. এ ঘটনা একাধিক সাহাবীর সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। ইমাম নববী রাহ. ও কুরতুবী রাহ.-এর মতে, তা একই ঘটনার বিভিন্ন বর্ণনা। তবে হাফেয ইবনে হাজার রাহ. ও আল্লামা আইনী রাহ.-এর মতে তা আলাদা তিনটি ঘটনা। এ বিতর্কের অবসান কঠিন হলেও সকল বর্ণনার অভিন্ন বক্তব্য এই যে, কবরে খেজুর গাছের শাখা পোঁতা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাধারণ নিয়ম ছিল না। আযাবের শিকার কোনো কোনো কবরে শাখা পোঁতার দুটি একটি ঘটনা অবশ্য ঘটেছে।

      দুই. এ নিয়েও কথা আছে যে, এ কবরগুলো কাদের ছিল- কাফিরের না মুসলমানের? আবু মুসা মাদীনী রাহ. বলেন, এ কাফেরদের কবর ছিল। পক্ষান্তরে কেউ কেউ বলেছেন, এ মুসলমানদের কবর ছিল। হাফেয ইবনে হাজার আসকালানী রাহ. বলেন, জাবির রা.-এর হাদীসে যে ঘটনা বর্ণিত হয়েছে, তা মুসলমানদের কবরের ঘটনা। -ফাতহুল বারী খÐ ১ পৃষ্ঠা ২৫৬

      এ ‘ব্যাখ্যা’ যদি যথার্থও ধরে নেওয়া হয় তাহলেও এর দ্বারা কবরে শাখা পোঁতা সুন্নত সাব্যস্ত হয়, ফুল ছড়ানো বা পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ নয়।

      মুছুন